Download Free BIGtheme.net
Home / অন্যান্য / তোর্সার পানি বণ্টনের প্রস্তাবকে গ্রহণযোগ্য মনে করে না দিল্লি!

তোর্সার পানি বণ্টনের প্রস্তাবকে গ্রহণযোগ্য মনে করে না দিল্লি!

অনলাইন ডেস্ক: তিস্তাকে এড়িয়ে তোর্সা, সঙ্কোশ ও রাইদাক নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিকল্প প্রস্তাবটি জায়গা পায়নি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বিবৃতিতে। সোমবার আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তিস্তা চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়নে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের কথা বলছে কেন্দ্র। মমতার বিকল্প প্রস্তাবের কোনও উল্লেখই রাখা হয়নি এই যৌথ বিবৃতিতে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, মুখ্যমন্ত্রীর তোর্সা প্রস্তাবকে গ্রহণযোগ্য বলেই মনে করছে না দিল্লি।

রবিবার (৯ এপ্রিল) রাতে মমতা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কেবল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীই নন, হায়দরাবাদ হাউসের মধ্যাহ্ন ভোজেও তিনি ভারতীয় নেতৃত্বকে তার বিকল্প প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন। তবে সন্ধ্যায় ভারত যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে, তাতে সেই প্রস্তাবের উল্লেখ নেই।

বিবৃতির নথির ৪০ নম্বর অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে, ‘২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে দুই সরকারের ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৈরি হওয়া তিস্তা জল বণ্টন চুক্তি সই করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করেছেন। মোদি জানিয়েছেন, ওই চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তার সরকার সংশ্লিষ্ট মহলগুলোর সঙ্গে কথা বলছেন। ’

ফেনি, মানু, ধরলাসহ সাতটি নদীর পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি সইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও বলা হয়েছে বিবৃতিতে। সে তালিকায় নাম নেই তোর্সার।

মুখ্যমন্ত্রী তিস্তার বদলে তোর্সার পানির বণ্টনের প্রস্তাব দেওয়ার পর এখনও সরকারিভাবে মুখ খোলেননি দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানায়, পানির অভাবে বাংলাদেশে তিস্তা অববাহিকা শুকিয়ে জীবন-জীবিকায় বিপর্যয় নামার বিষয়টি তো রয়েছেই। দিল্লি জানে, তিস্তা নিছক একটি নদীর নাম নয়, বাংলাদেশের মানুষের আবেগের নাম। ২০১৮ সালে শেষে নির্বাচনে যাওয়ার আগে শেখ হাসিনা প্রধান রাজনৈতিক হাতিয়ার এই তিস্তা চুক্তি। তিনি তা সই করে ভোটে যেতে পারলে সরকারে ফিরতে সুবিধা হবে বলে মনে করে আওয়ামী লীগ।

মোদি বলেন, ‘হাসিনা যেভাবে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করছেন, তার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রয়েছে। ’

ভারতীয় কূটনীতিকরা বলছেন, এমন নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলাটা দিল্লির লক্ষ্য নয়। বরং প্রতিবেশী দেশের এই নেতৃত্বকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করাই নীতি হওয়া উচিত।

শেখ হাসিনাকে পাশে নিয়ে রবিবার মোদি কার্যত তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের সময় সীমাই ঘোষণা করে দিয়েছেন। মোদি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একমাত্র আমার এবং আপনার সরকারই তিস্তা চুক্তির দ্রুত সমাধান করতে পারবে। ’

Comments

comments