Download Free BIGtheme.net
Home / আইন ও আদালত / কোরীয় নাগরিক হত্যায় এক আসামির যাবজ্জীবন

কোরীয় নাগরিক হত্যায় এক আসামির যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক: এক কোরীয় নাগরিক হত্যা মামলায় এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় দেন।

ঢাকার ৪নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন ট্রাইব্যুনাল।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মানিক সরকার। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামি মানিক সরকার নিহত নারী ও তাঁর স্বামীর পরিচালিত আরিয়ান কোরিয়ান নামের রেস্তোরাঁর কর্মী ছিলেন।

রায় ঘোষণার আগে মামলার একমাত্র আসামি মানিক সরকারকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান লিখন জানান, ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর কোরীয় নাগরিক রো জং সিয়ংকে (৬৯) ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কোরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওই বছরের ১৭ নভেম্বর তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় ওই দিন নিহত নারীর স্বামী পার্ক জ্যাং সিয়ং বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। তিনি ৪৫ বছর ধরে গুলশানে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করে আসছেন। ঘটনা তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই বছরের জুলাই মাসে আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার বাদী পার্ক জ্যাং সিয়ং দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক এবং গুলশানস্থ আরিয়ান কোরিয়ান রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করতেন। বাদী ৪৫ বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর বাদীর গাড়ীর চালক রনি বাসায় গিয়ে তাকে জানান যে তার স্ত্রী বাংলাদেশি নাগরিক দ্বারা গুরুতর জখম হয়েছেন। ঘটনার দিন বাদী বনানীর অন্য বাসায় ছিলেন।

ঘটনার সময় বাদীর বাসার কাজের মেয়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন। সে তাকে জানান যে, তার রেস্টুরেন্টের ডিশ ক্লিনার মানিক সরকার একটি ধারালো চাকু নিয়ে জোর পূর্বক ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাসায় ঢুকেন। এরপর তার গলা ও ঘারে ছুরিকাঘাত করে। তা রেস্টুরেন্টের কর্মচারী-স্টাফরা দেখতে পান এবং তা বাদীকে জানান।

তখন বাদী তার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য এ্যাপেলো হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং মানিককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়ে যান। এর পর সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১১ সালেল ১৭ নভেম্বর মারা যায়।

মামলার আসামি মানিক সরকার হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক নুরে আলম মানিককে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় বিভিন্ন সময়ে ১৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন।

Comments

comments