অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ২০০৯ সালের ৯ মে তিনি ইন্তেকাল করেন।
দিনটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
এছাড়া, পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, এম এ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন, মহাজোটের শরীক দলসমূহ এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ওই বিজ্ঞানী ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের লালদিঘীর ফতেহপুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর জামাতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ৭ বছর নির্বাসিত জীবন কাটান।
প্রয়াত বিজ্ঞানীর ভাতিজা ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম জানান, মঙ্গলবার (০৯ মে) সকালে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে লালদীঘির ফতেহপুরে জয়সদনে তার (ওয়াজেদ মিয়া) কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু করা হবে।
এরপর সকালে জয়সদন প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের পর গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে। বিকালে উপজেলা সদরে দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন এবং মহাজোটের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
দিবসটি পালনে ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদও নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নগরীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ড. ওয়াজেদ মিয়ার জীবনালেখ্যর উপর একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ড. ওয়াজেদ মিয়া ফাউন্ডেশন ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
২০০৯ সালের ৯ মে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ইন্তেকাল করেন। তিনি তাঁর মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে জনগণের কল্যাণে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। ওয়াজেদ মিয়া তাঁর কর্মের জন্য ভবিষ্যত্ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উত্স হিসেবে বেঁচে থাকবেন। ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষা, গবেষণা ও রাজনীতিতে ড. ওয়াজেদ মিয়ার অবদান বর্তমান ও ভবিষ্যত্ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া মৌলিক মিথস্ক্রিয়া এবং কণা পদার্থবিজ্ঞান, অনু এবং পারমাণবিক চুল্লী, সলিড স্টেট ফিজিক্স, তড়িত্চুম্বকত্ব, স্বাস্থ্য ও বিকিরণ পদার্থবিদ্যা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ক্ষেত্রে গবেষণা করেন। ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন।
উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় ফতেপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আবদুল কাদের মিয়া ও মাতা মরহুমা ময়জান নেছার সন্তান ড. ওয়াজেদ মিয়া এলাকায় ‘সুধা মিয়া’ নামেই পরিচিত ছিলেন।
Comments
comments