অনলাইন ডেস্ক: আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যতদিন পর্যন্ত ফসল হবে না ততদিন সেখানকার কৃষকদের সরকার খাদ্য দেবে, এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, হাওরের ফসল রক্ষা করতে নদী খনন করা হবে। নদীভাঙা মানুষকে ঘর নির্মাণসহ হাওরাঞ্চলে আবাসিক স্কুল করে দেয়া হবে। বৃহস্পাতিবার সকালে খালিয়াজুড়ি কলেজ মাঠে সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ফসল ঘরে না উঠা পর্যন্ত হাওর অঞ্চলের মানুষের মাঝে ১০ টাকা কেজির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল, ওএমএসর চাল বিতরণ করা হবে। দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে, খাদ্যের কোন অভাব হবে না। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করা হবে। এ দেশের কোন মানুষ না খেয়ে মরা যাবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুদ আছে। কোন মানুষ না খেয়ে মারা যাবে না। হাওর অঞ্চলের বাঁধ নির্মাণ করা হয় মানুষের ফসল রক্ষার জন্য। এই বাঁধ নির্মাণে কেউ যদি কোন অনিয়ম করে থাকলে হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সব বাঁধ নির্মাণে কোন ধরনের অবহেলায় ছাড় দেয়া হবে না।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ওরা ক্ষমতায় থাকলে লুটপাট ও হত্যার রাজনীতি করে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এরা দেশের মানুষকে জিম্মি করে ফেলে। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে নেত্রকোণা জেলা যুবলীগের সভাপতি স্বপন জোয়ারদারসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।
এসময় তিনি বলেন, পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি, সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা। আমরা জনগণের সেবা করতে এসেছি। আমি চাই আপনাদের জীবন মানের উন্নয়ন করতে।
তিনি আরও বলেন, এই এলাকার বাবরকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়ে খালেদা জিয়া বান্দরের হাতে লাঠি তুলে দিয়েছিল। এই এলাকার ১২ জনকে হত্যা করেছিল।
এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি শুধু ঢাকায় বসে কথা বলে, মির্জা ফখরুল এসেছিলেন ফটোসেশন করে চলে গেছেন। খালেদা জিয়াও এখানে আসেননি। ত্রাণ দেননি।
Comments
comments