শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বালু খেকোদের দখলে নদী, ঝোড়া, ঝর্ণা ও পাহাড়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালু উত্তোলনে কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সে নির্দেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে বালু লুটপাটের মহোৎসব। উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর বালিজুরী, দুপুরীয়া, আয়নাপুর, মহারশি নদীর সন্ধাকুড়া, গোমরা, মালিঝিনদীর তিনানী ও গজনী ফরেস্ট বিট এলাকার কালঘোষা নদীর ফুলহাড়ি, বাকাকুড়া, মালিটিলা, শিলঝোড়া, মঙ্গলঝোড়াসহ বিভিন্ন স্থানে অর্ধ শতাধিক স্থানে স্যালো মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে নদী ও ঝর্ণাসহ বন-বিভাগের পাহাড় থেকে বালুখেকোরা অবাধে বালু লুটপাট চালিয়ে আসছে।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় এক শ্রেণীর অসাধু বন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে এসব বালু লুটপাট করা হচ্ছে। বালুখেকোদের দাপটে ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে পাহাড়। ভাঙ্গছে নদীর দু’পাড় আর ধ্বংস হচ্ছে রাস্তা-ঘাট। সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। শুধু তাই নয় পাহাড়ি ঝর্ণা থেকে বালু পরিবহণের সুবিদার্থে শাল, গজারী ও সেগুন বাগান কেটে তৈরী করা হচ্ছে সড়ক। ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সামাজিক বনায়ন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপকারভোগীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালু বোঝাই ৪০/৫০টি ট্রাক চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। প্রতি ট্রাক বালু বিক্রি হচ্ছে ৯ হাজার টাকায়। প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে ট্রাক বোঝাই বালু গেলেও যেন দেখার কেউ নেই। অবৈধভাবে অবাধে বালু উত্তোলন করায় একদিকে নদী ও গারো পাহাড় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে। অপরদিকে, নদীর দু’পাড় ও রাস্তাঘাট ভাঙ্গছে। কোথাও কোথাও চলাচলের ব্রীজভেঙ্গে মুখ থুবরে পড়ে আছে।
উপজেলার সন্ধ্যাকুড়া গ্রামের নজরুল মিয়া, শাহ জাহান মিয়া বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী ও বালু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন থেকে এ মহারিশ নদরি ও ঝর্ণার পাশে ১৫/২০টি স্যালোযন্ত্র বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা মূল্যের বালু লুটপাট করা হচ্ছে। প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের দাপটে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
Comments
comments