অনলাইন ডেস্ক: উপকূলে ১৩৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে লন্ডভন্ড হতে শুরু করেছে কক্সবাজারে উপকূলীয় এলাকা। ‘মোরা’র আঘাত শুরু হওয়ার সাথে সাথে বাড়ছে বাতাসের গতিবেগ। প্রচণ্ড বাতাসে লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে দেশের সর্ব দক্ষিণের সেন্টমার্টিন, শাহাপরীরদ্বীপসহ উখিয়া, টেকনাফের অধিকাংশ এলাকা। ভেঙে যাচ্ছে অধিকাংশ কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি।
ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে দমকা বাতাসে উপড়ে যাচ্ছে গাছপালা, বিলিন হচ্ছে মাছের ঘের, নষ্ট হয়ে গেছে লবনের মাঠ ও পানের বরজ। নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যাচ্ছে অসহায় মানুষ। তবে এখনো পর্যন্ত কোন প্রাণহানীর খবর পাওয়া যায়নি।
সুপার সাইক্লোন-১ ক্যাটাগরির এই ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করছে। জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। ঝড়ের সাথে বৃষ্টি হওয়ায় জলোচ্ছ্বাসে কক্সবাজারে নিম্নাঞ্চল ৬-৭ ফুট পানিতে প্লাবিত হতে পারে। উপকূলীয় এলাকার হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। এছাড়া নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৮ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
Comments
comments