অনলাইন ডেস্কঃ এ বছর আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
ইলিশ রক্ষায় প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ’সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার সচিবালয়ে ২০১৬ সালে প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশের ২৭টি জেলায় এই ইলিশ ধরার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে ২২ দিন চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া ও রাজশাহী জেলার সব নদ-নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। এই ২২ দিন ইলিশ আহরণ, বিতরণ, বিপণন, কেনাবেচা, পরিবহন, মজুদ, বিনিময়সহ সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
এ সময় মাছের আড়ত, হাটবাজার ও বিপণিবিতানগুলোতে (চেইন শপ) অভিযান পরিচালিত হবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানের সাত হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ইলিশের প্রজননক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণার কথাও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
সভার শুরুতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক সাংবাদিকদের জানান, প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান’র আওতায় ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত প্রায় সাত হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাসহ সারাদেশ ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করে সরকার আইন জারি করেছে।
মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী হতে হাইতকান্দি পয়েন্ট, তজুমুদ্দিন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দিন হতে পশ্চিম সৈয়দ আওলিয়া পয়েন্ট, কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট এবং কুতুবদিয়া হতে গণ্ডামারা পয়েন্ট প্রধান প্রজনন ক্ষেত্র।
মন্ত্রী বলেন, ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রসহ প্রধান প্রজনন মৌসুমের ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। প্রধান প্রজনন মৌসুমে চিহ্নিত প্রজনন ক্ষেত্রে ডিমওয়ালা ইলিশসহ সব প্রকার মাছ ধরা বন্ধের মাধ্যমে ইলিশ রক্ষায় গণসচেতনতা সৃষ্টি করাই এর উদ্দেশ্য।
প্রজনন ক্ষেত্র ছাড়াও ২৭ জেলায় মাছ ধরা বন্ধের কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে বলে জানান মন্ত্রী।
গত বছর এ সময় ১৫ দিন হলেও এবার ১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি (প্রটেকশন এ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস, ১৯৮৫) সংশোধন করে এ সময় ৭ দিন বাড়ানো হয়েছে। গত বছরের আগে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় ছিল ১১ দিন।
এ সময়ে ইলিশ ধরা ও বিক্রির পাশাপাশি সরবরাহ ও মজুদও নিষিদ্ধ থাকে। এ আদেশ অমান্য করলে কারাদণ্ড ও জরিমানা গুণতে হয়। আশ্বিন মাসের প্রথম চাঁদের পূর্ণিমার দিন এবং এর আগে ৪ ও পরের ১৭ দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।
Comments
comments