অনলাইন ডেস্কঃ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ও টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি আদায় কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইজহারুল হক আকন্দের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
বৃত্তিপ্রাপ্তদের কাছ থেকেও টিউশন ফি আদায়, নির্দেশ মানছে না অনেক নামি স্কুল- শিরোনামে গত ৩ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সোমবার পত্রিকার ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী আমির হোসেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষায় বৃত্তি পাবে তাদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় করা যাবে না- সরকারের এমন কঠোর নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না বেসরকারি নামি স্কুলগুলো।
ভর্তি ফি, নিবন্ধন ফি, উন্নয়ন ফি, টিউশন ফিসহ সবধরনের ফি’র টাকাই বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করছে এসব প্রতিষ্ঠান। ফলে বৃত্তি পাওয়ার মাধ্যমে ততটা আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে না স্বীকৃত এসব মেধাবীরা।
রাজধানীর ভিকারুন্নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনিপুরী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পুরো মাসিক বেতন দিতে হচ্ছে। যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সকল মেধা বৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ লাভ করবে।
আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষাসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
Comments
comments