জেলা প্রতিনিধি: যশোরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের তিন সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা আত্মসমর্পণ করেন। এরা হলেন- যশোর শহরের পুলিশ লাইন কদমতলা এলাকার আবদুল আজিজের তিন সন্তান তানজীব ওরফে আশরাফ, মাছুমা ও তানজীর আহমেদ।
একই পরিবারের এই তিন সদস্যের আত্মসমর্পনের ফলে যশোরে আত্মসমর্পণকারী জঙ্গি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়ালো সাতজন। এরা সকলেই হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য। গত ৬ সেপ্টেম্বর যশোর পুলিশের প্রকাশিত ১১ জঙ্গির তালিকায় একই পরিবারের ছয় সদস্যের নাম ছিল। তাদের মধ্যে এই তিনজন আত্মসমর্পণ করলো।
সোমবার দুপুর দেড়টায় যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মনির-উজ-জামান বলেন, যশোরের মতো আর কোথাও এত জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেনি। এ পর্যন্ত সাতজন জঙ্গি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলো। অন্য জায়গায় জঙ্গিরা বন্দুযুদ্ধে নিহত হয়েছে। যশোরে পুলিশের প্রচেষ্টায় জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করানো সম্ভব হয়েছে।
গত ২১ আগস্ট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন, ফখরুল আলম তুষার নামের হিযবুত তাহরীরের এক সদস্য। তুষার যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী। তিনি যশোর শহরের আরবপুর এলাকার আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।
এর আগে ১১ আগস্ট যশোরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের তিন সদস্য যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গা কদমতলা এলাকার মৃত শফিয়ার রহমানের ছেলে সাদ্দাম ইয়াসির সজল। তিনি হিযবুত তাহরীরের মোশরেফ সদস্য। অপর দুইজন সংগঠনের সাবাব সদস্য। তারা হলেন- যশোর শহরতলীর ধর্মতলা মোড় এলাকার আবদুস সালামের ছেলে রায়হান আহমেদ ও যশোর শহরতলীর কদমতলা এলাকার একেএম শারাফত মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান পলাশ ।
সংবাদ সম্মেলনে খুলনা বিভাগের ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বানে সাড়া দিয়ে জঙ্গিরা অনুতপ্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়। তারা আমাদের কাছে এসেছে। আমরা আত্মসমর্পণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তিনি আরও বলেন, যারা আত্মসমর্পণ করেনি, তারা আত্মসমর্পণ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments
comments