সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মামুনুর রশিদ মন্ডলকে জেরা করেছে নুর হোসেন ও র্যাব কর্মকর্তা পুর্নেন্দু বালার পক্ষের আইনজীবিরা। সোমবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫ ঘন্টা ব্যাপী নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত নূর হোসেন, র্যাবের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, এমএম রানা ও আরিফসহ ২৩ আসামির উপস্থিতিতে প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অসম্পূর্ন জেরা সম্পন্ন করেছে নুর হোসেনের আইনজীবী এড.খোকন সাহা। পরে র্যাব কর্মকর্তা পুর্ণেন্দু বালার পক্ষে তার আইনজীবী জেরা শুরু করেন। আদালত আগামী ৬ অক্টোবর জেরার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সোমবার আদালতে ৭ খুনের দু’টি মামলার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও বর্তমানে জেলা পুলিশের (ডিআই-১) মামুনুর রশিদ মন্ডলকে আসামী পক্ষের জেরা চলছে। আগামী ৬ অক্টোবর আসামী পক্ষের আইনজীবীরা তাকে আরো জেরা করবেন।
জানা গেছে, সাত খুনের ঘটনায় দু’টি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অন্য বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। দু’টি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭ জন করে। এখন পর্যন্ত সাত খুনের দু‘টি মামলায় অভিন্ন ১২৭ সাক্ষীর মধ্যে ১০৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। আর চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো ১২ জন পলাতক রয়েছেন।
Comments
comments