অনলাইন ডেস্ক: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মানসিক অস্থিরতার জন্য মানসিক অসুস্থতাকেই দায়ি করেছেন। মানসিকভাবে সুস্থ থাকার বিষয়ে তার আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ক্ষেএ বিশেষে তারুণ্যের বিভ্রান্তির পাশাপাশি মাদকের অবাধ ব্যবহার বিপথগামিতার জন্য দায়ি। এর একমাত্র সমাধান হিসেবে কাউন্সিলিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন,‘নিজ-নিজ সন্তানকে ও অভিভাবকদের আরো বেশি করে সময় দিতে হবে।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের স্পেশাল সেমিনার রুমে ‘আগ্রাসন ও সহিংসতার মনস্তত্ব’ শীর্ষক এক বিশেষ সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিসএবিলিটি প্রটেকশন ট্রাস্ট’র সভাপতি অধ্যাপক মো. গোলাম রব্বানী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. কামরুজ্জামান মজুমদারের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যদিয়ে সেমিনার শুরু হয়। এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ মাহমুদুর রহমান। মূল বক্তব্যের ওপর আলোচনায় অংশ নেন, বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. শামসুদ্দীন ইলিয়াস এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির সাধারন সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন।
এ সেমিনারে মোহাম্মদ নাসিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিশ্বব্যপী অটিস্টিক বিষয়ক কাউন্সিলিং’র উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি জেলা পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি এবং মনোবিজ্ঞানী নিয়োগের দাবির বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে বলে আয়োজকদের আশ্বস্ত করেন।
অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সামাজিক অস্থিরতার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে উদাহরণ দেন এবং ‘আগ্রাসন ও সহিংসতার মনস্তাত্বিক পরিচর্যার’ গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মনোবিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান। মোটর সাইকেলের জন্য পুত্রের হাতে অগ্নিদদ্ধ হন পিতা-এটি’কে মানসিক আগ্রাসী ও অসহনশীলতার প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন,‘এগুলো এক ধরনের সামাজিক অস্থিরতা। শারীরিক অসুস্থতা মানসিক অসুস্থতার চেয়ে অনেক বড়। নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করছে সামাজিক সুস্থতা।’
তিনি বলেন,সামাজিক সুস্থতার জন্য অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। এ ধরনের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী রয়েছে বলেও উপাচার্য উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর ২০১৬ ছিল বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এই দিবস পালনে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ‘মানসিক স্বাস্থ্যে মর্যাদাবোধ-সবার জন্য প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবছর এ দিবসটি পালিত হয়।
Comments
comments