অনলাইন ডেস্ক: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, স্বাস্থ্য সেবা এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের জনসাধারণের মাঝে দ্রুততম সময়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কায়সার রহমান মিয়নায়তনে ৩৬তম সন্ধানী জাতীয় কনভেনশন ও সন্ধানী কেন্দ্রীয় ষান্মাসিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ বলেন। এর আগে এ উপলক্ষে একটি র্যালি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে মেডিকেল কলেজের মিলনায়তনে এসে শেষ হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তাতে একটি মানুষও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না।
তিনি বলেন, ২০১০ সাল থেকে দেশের প্রতিটি মেডিকেল সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক জনগণের কল্যাণে কাজ করছে। নাসিম বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবা যাতে পিছিয়ে না থাকে এবং জনগণের মাঝে তা সহজে পৌঁছে দিতেই শেখ হাসিনার সরকার একসাথে সাড়ে ছয় হাজার ডাক্তার এবং ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছেন। এ ডাক্তাররাই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিবে। রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ খুব দ্রুত সময়ে শুরু হবে বলেও তিনি আশবাদ ব্যক্ত করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সন্ধানী সংগঠন প্রায় ৩৯ বছর ধরে রক্তদান এবং চক্ষুদান কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা দিয়ে আসছে। সন্ধানী সংগঠনকে আরো আন্তরিক মনোভাব নিয়ে অসহায়, হতদরিদ্র এবং যারা পয়সার অভাবে রক্ত কিনতে পারে না, তাদের প্রতি সদয় হওয়ার আহবান জানান।
সন্ধানী সংগঠন যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অসহায় মানুষের সন্ধান করে তৎক্ষণাৎ সেবা পৌঁছাতে পারে, সেজন্য এ সংগঠনকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বের কাছে আরো প্রশংসিত হবে।
সন্ধানীর কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রতিনিধি জাহারুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সিরাজগঞ্জ-২ সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত, স্বাচিপ এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তবিবুর রহমান শেখ, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রামেক-এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নওশাদ আলী, সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি একেএম সালেকসহ আরো অনেকে বক্তৃতা করেন।
Comments
comments