স্পোর্টস ডেস্ক: মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের চতুর্থ আসরের ফাইনাল ম্যাচে রাজশাহী কিংসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস। মমিনুল ও সাব্বিরের জুটিতে জয়ের আশা জাগিয়ে ছিল রাজশাহীকে। তবে সাব্বির রান আউট হয়ে ফিরে গেলে সেই আশা ফিকে হয়ে যায়। ধারাবাহীক উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১০৩ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। এতে ৫৬ রানের বড় জয় পায় ঢাকা।
শুক্রবার শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে ড্যারেন স্যামির রাজশাহীর বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে ঢাকা।নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে রাজশাহীকে ১৬০ রানের টার্গেট দেয় ঢাকা।
দুই ওপেনার মিলে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও ৪২ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা। দলীয় ২৩ রানে প্রথম আঘাত হানেন তরুণ স্পিন সেনশেসন মেহেদী হাসান মিরাজ। মেহেদীর ঘূর্ণিতে উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাড়া জাগানো ওপেনার মেহেদী মারুফ। তিনি ১০ বলে ১ বাউন্ডারিতে মাত্র ৮ রান করেন। এরপ ১২ রানের ব্যবধানে আবারো ঢাকার উইকেট পতন ঘটে। এই বিপিএলেই চমক দেখানো টিনএজ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেনের বলে উইকেটকিপার নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দেন নাসির হোসেন। দলের বিপদে নাসিরের অবদান ৭ বলে মাত্র ৫ রান!
এরপর মঞ্চে আবির্ভাব ঘটে অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির। তরুণ মোসাদ্দেক হোসেনকে (৫) সরাসরি বোল্ড করে দেন তিনি। তখনো উইকেটের একপ্রান্ত আগলে আছেন ওপেনার এভিন লিউয়িস। শ্রীলংকান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে ৪১ রানের ভীষণ প্রয়োজনীয় একটি জুটি গড়েনি তিনি। হাফ সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ করেই ছন্দপতন ঘটে লিউয়িসের। ফরহাদ রেজার বলে উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ৩১ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৪৫ রান করা এই ওপেনার। সাঙ্গাকারার সঙ্গী হয়ে আসেন ডোয়াইন ব্র্যাভো। কিন্তু বেশীক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি ডিজে। ১০ বলে ১ চার এবং ১ ছক্কায় ১৩ রান করে দূর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হন তিনি।
দলের এই কঠিন সময়ে ১১ বলে ৮ রান করে সামিট প্যাটেলের শিকার হন আন্দ্রে রাসেল। সাঙ্গাকারার নতুন সঙ্গী হন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু বহু আরাধ্য সেই বড় জুটির দেখা পায়নি ঢাকা। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও এদিন ব্যর্থ ছিলেন। ফরহাদ রেজার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে তিনি ৭ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১২ রান করেন। ৩ রানের ব্যবধানে উইলিয়ামসের শিকারে পরিণত হন আলাউদ্দিন বাবু (১)।
Comments
comments