অনলাইন ডেস্ক: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জঙ্গি-সন্ত্রাস ‘জিহাদ’ নয়, জঘণ্য ধর্মবিরোধী অপরাধ। ইসলাম জঙ্গি-সন্ত্রাস সমর্থন করে না। তিনি বলেন, ‘জঙ্গি-সন্ত্রাস, ধর্মীয় বিপ্লব নয়, এটি জঘণ্য অপরাধ ও ধর্মবিরোধী কাজ। সন্ত্রাসীদের নামের আগে ‘ইসলামী’ শব্দ ব্যবহার পরিহার করুন, কারণ ইসলাম জঙ্গি-সন্ত্রাস সমর্থন করে না।’
মন্ত্রী আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি গোলটেবিল মিলনায়তনে ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্রাব) এর বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। মন্ত্রী বিশ্বব্যাপী ইসলাম ধর্মকে জঙ্গি-সন্ত্রাসের সাথে সম্পর্কিত করার বিরুদ্ধে এবং ‘ইসলামোফোবিয়া’ থেকে বিশ্বকে মুক্ত করার প্রয়াসে সকলের প্রতি একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ সময় অপরাধ দমন ও বিচারের ওপর গুরুত্বারোপ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, অপরাধমুক্ত সমাজ গণতন্ত্রকে মজবুত করে আর অপরাধ দমন আইনের শাসনকে শক্তিশালী করে। তাই অপরাধ দমনে প্রশাসন ও গণমাধ্যমকে সমন্বিত ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নিলেই জঙ্গি-সন্ত্রাসের দায় থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। খালেদা জিয়া জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক এবং বিএনপি জঙ্গি পুণ:উৎপাদনের কারখানা হিসেবেই তাদের অপতৎরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিচারের হাত থেকে তাদের রেহাই নেই।’
অপরাধ দমনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি গণমাধ্যমের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতিকরা ক্ষেত্রবিশেষে অপরাধের সাথে আপোস করলেও গণমাধ্যম তা করতে পারে না। হানাদার, স্বৈরাচার, আগুনসন্ত্রাসী, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমাদের গণমাধ্যম সবসময়েই সোচ্চার।’
ক্রাব সভাপতি আখতারুজ্জামান লাবলু’র সভাপতিত্বে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় বক্তৃতা করেন।
র্যাবের মহাপরিচালক আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে জঙ্গিবাদ বিরোধী তৎপরতায় বাংলাদেশের উজ্জ্বল অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।
ডিএমপি কমিশনার তার বক্তব্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে গণমাধ্যমের সহায়ক ভূমিকার প্রশংসা করেন। ক্রাব এবং ডিআরইউ এর সভাপতিদ্বয় অপরাধ দমনে সাংবাদিকদের দৃঢ় ভূমিকা অক্ষুন্ন রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
Comments
comments