Download Free BIGtheme.net
Home / জাতীয় / ‘জঙ্গি বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে’

‘জঙ্গি বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে’

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, বাংলার মাটি থেকে জঙ্গি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ মাটিতে জঙ্গিদের আস্তানা হতে পারে না। আইজিপি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে জঙ্গিবাদ সংক্রান্ত এক বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

সভায় ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া, সিটিটিসির ডিআইজি মোঃ মনিরুল ইসলাম, সিটিটিসির অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ আমিনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং সিটিটিসি ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসলে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। নচেৎ আপনাদের ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে ।

তিনি জঙ্গি দমনে অব্যাহত সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য দেশের জনগণ এবং গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (গোপনীয়) মোঃ মনিরুজ্জামান সম্প্রতি রাজধানীর আজিমপুর, গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর, পুরাতন জেএমবি এবং রাজধানীর দক্ষিণখানে জঙ্গি অপারেশনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

সভায় জানানো হয়, পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায়। ওই আস্তানা থেকে ৬ ও ১ বছর বয়সী দুটি শিশুকে উদ্ধার এবং ৩ জন নারী জঙ্গিসহ জঙ্গি আবদুল করিমের পুত্রকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ । অভিযান শেষে ঘটনাস্থলে জঙ্গি তানভীর কাদেরী ওরফে জামশেদ ওরফে আবদুল করিমের লাশ পাওয়া যায়। গ্রেফতার এড়াতে সে আত্মহত্যা করে বলে ধারণা করা হয়।

পুলিশ জঙ্গি আস্তানা থেকে গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারী নজরুল ইসলাম ওরফে মারজান এর স্ত্রী আফরিন ওরফে প্রিয়তি (২৫), তামিম আহমেদ চৌধুরীর ঘনিষ্ট সহযোগী আবেদাতুল ফাতেমা ওরফে খাদিজা (৩৫), তামিম আহমেদ চৌধুরীর অপর ঘনিষ্ট সহযোগী বাসারুজ্জামান ওরফে চকলেট এর স্ত্রী শায়লা আফরিন (২৩) এবং তানভীর কাদেরীর স্ত্রী তাহরিম কাদের ওরফে রাসেলকে গ্রেফতার করে।

এছাড়া গত ৮ অক্টোবর গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের পাতারটেকের জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানকালে (অপারেশন স্পেট ৮) জেএমবি’র ঢাকা বিভাগের অপারেশন কমান্ডার মোঃ ফরিদুল ইসলাম ওরফে আকাশ ওরফে প্রভা ওরফে সানোয়ারসহ ৭ জেএমবি সদস্য নিহত হয়।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি এবং জেলা পুলিশ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ১৩ জন পুরাতন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। পুরাতন জেএমবি সদস্যরা জঙ্গি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে গাজীপুর, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ এবং আশেপাশের এলাকায় ডাকাতিতে নিয়োজিত ছিল।

এদিকে কাউন্টার টেররিজম এবং ট্রান্সন্যাশরাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার দক্ষিণখানের আশকোনা পূর্বপাড়া এলাকার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ২জন নারী জঙ্গি সদস্যকে আটক করে। এ সময় তারা সেখান থেকে ৩জন শিশুকে উদ্ধার করে। এ অভিযানে ২ জঙ্গি সদস্য নিহত হয়। এর মধ্যে একজন আত্মঘাতি নারী জঙ্গি সদস্য বোমা বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করে।

আটককৃত নারী জঙ্গিদের মধ্যে মেজর (অব) মুরাদ ওরফে জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী জেবুননাহার ইসলাম এবং তাদের সন্তান পলাতক জঙ্গি মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা ওরফে তৃষা এবং তাদের ৫ বছরের সন্তান রয়েছে।

অপরদিকে গত ৮ অক্টোবর গাজীপুরের হাড়িনাল ও ঢাকার আশুলিয়ার জঙ্গি আস্তানায় র‌্যাবের অভিযানে ৩ জন জঙ্গি নিহত হয়। এ সময় একজনকে আটক করা হয়। নিহতদের মধ্যে একজন জেএমবির অন্যতম নেতা সারোয়ার জাহান ওরফে নয়ন।পুলিশ জঙ্গি আস্তানা থেকে পিস্তল,ম্যাগাজিন, বুলেট, ল্যাপটপ, জিহাদী বই, গ্যাস সিলিন্ডার, মটরসাইকেল, স্বর্ণ, চাপাতি, রামদা, ও গ্রেনেড উদ্ধার করে।

Comments

comments