জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গার নিজ বাড়িতে আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্যকে গুলি করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক বিমল সরকার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সংসদ সদস্যের বুকে গুলি লেগেছিল।
এর আগে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিউর রহমান জানিয়েছিলেন, নিজ বাড়িতে সংসদ সদস্যকে গুলি করার ঘটনা সত্য। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব। সংসদ সদস্যের স্ত্রী খোরশেদ জাহান স্মৃতি বলেছিলেন, সংসদ সদস্যকে তার নিজ বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গায় গুলি করা হয়েছে। দুই দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে গুলি করে পালিয়ে যায়। তার পরই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে কারা গুলি করেছে এ ব্যাপারে পুলিশ বা সংসদ সদস্যের পরিবার কেউ কিছু বলতে পারছে না।
সূত্র জানায়, সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে সরকারি গাড়িতে করেই সংসদ সদস্য লিটনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীর জুড়ে রক্ত ছিল। চোখ বন্ধ ছিল। সংসদ সদস্যের সঙ্গে আসা দুই নারীকে অপারেশন থিয়েটারের বাইরে কাঁদতে দেখা গেছে। তারা এমপি লিটনের মা ও বোন বলে জানা গেছে।
২০১৫ সালের ২ অক্টোবর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্ধ ইউনিয়নের গোপালচরণ এলাকায় এক শিশুকে গুলি করে সারা দেশে সমালোচনার মুখে পড়েন এমপি লিটন। তিনি তার লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে গোপালচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সৌরভকে গুলি করেন। এ ঘটনায় সৌরভের বাবা বাদী হয়ে ৩ অক্টোবর এমপি লিটনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ ছাড়া এমপি লিটনের বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ৬ অক্টোবর আরেকটি মামলা করেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর শাহাবাজ গ্রামের হাফিজার রহমান।
ওই ঘটনায় মামলার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন এমপি লিটন। পরে ওই বছরই আদালতে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যান। পরে জামিনে মুক্তি পান।
Comments
comments