অনলাইন ডেস্কঃ টঙ্গীর তুরাগ নদীর পাড়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হচ্ছে শুক্রবার ( জানুয়ারী) বাংলাদেশের ১৭টি জেলার মুসল্লিদের পাশাপাশি ইজতেমার এই পর্বে অংশ নিচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
১৯৬৭ সাল থেকে নিয়মিত বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে একই বছর দুইবার বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে নিয়মিত দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হচ্ছে।
শুক্রবার বাদ ফজর মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে টঙ্গীর তুরাগ পাড়। মহান আল্লাহতালার কৃপা লাভের আশায় কিশোর, যুবক, বৃদ্ধসহ সব বয়সের শ্রেণি-পেশার মুসল্লিরা ছুটে আসছেন ইজতেমা ময়দানে। হজের পর মুসল্লিদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা।
ইজতেমার মুরুব্বি গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ বছর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেবেন দেশের ৩৩টি জেলার মুসল্লি। এর মধ্যে প্রথম ধাপে অংশ নেবেন দেশের ১৭টি জেলার মুসল্লি। এছাড়া বিদেশি মুসল্লিরাও আসতে শুরু করেছেন। আগামী ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম ধাপ। এরপর ২০ জানুয়ারি শুক্রবার শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপ।
তাবলীগ জামাতের উদ্যোগে ১৬০ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ইজতেমা মাঠে বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তাবলীগ জামাতের অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেন। তারা এখানে তাবলীগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শোনেন এবং ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে যান।
এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষ হয়েছে ইজতেমার ময়দানের। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে ইজতেমা উপলক্ষে বুধবার থেকে টঙ্গীর তুরাগ নদীর পাড়ে আসতে শুরু করেছেন দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা। মুসল্লিরা দলে দলে ময়দানে এসে খুঁজে নিচ্ছে যার যার খিত্তা।
প্রথম ধাপে যেসব জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন- ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, মানিকগঞ্জ, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, গাজীপুর, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, সাতক্ষীরা ও যশোর।
এবারও ৫ স্তরের বিশেষ নিরাপত্তা, মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবায় ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স, বিআরটিসির ৩৫০টি বাসসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিবারের মতো বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের প্রবেশ পথে তল্লাশির ব্যবস্থা ছাড়াও র্যাব ও পুলিশের ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, সিসিটিভি স্থাপন, খিত্তাওয়ারি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করবে।
Comments
comments