অনলাইন ডেস্কঃ আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে আবার শুরু হচ্ছে রোহিঙ্গা শুমারি। এদিন সকাল ৮টা থেকে এই শুমারি শুরু হয়ে চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। এবারের শুমারিতে চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য (আরাকান) থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নেওয়াদের প্রকৃত সংখ্যা জানতে একযোগে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে শুমারি শুরু হচ্ছে।
এরআগে গত বছর মার্চে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিঁটিয়ে থাকা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা জানতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় শুমারি করা হয়।
কক্সবাজার জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান জানান, জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উদ্যোগে সকাল থেকে কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, উখিয়া ও টেকনাফে এ শুমারি শুরু হয়েছে। একইদিন চট্টগ্রামের লোহাগড়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া ও বোয়ালখালী এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা ও আলীকদমেও এ শুমারি শুরু হয়েছে।
ওয়াহিদুর রহমান বলেন, মিয়ানামারের সীমান্তরক্ষী নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনার পর গত বছরে ৯ অক্টোবর দেশটির সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান শুরু করলে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা নিয়ে আন্তর্জাতিকসহ বিভিন্ন সংস্থা একেকরকম কথা বলছে।
সরকার একইসঙ্গে তিন জেলায় শুমারি শুরু করা ছাড়াও কক্সবাজারের নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরগুলোর (উখিয়ার কুতুপালংয়ে একটি ও টেকনাফের নয়াপাড়ায় একটি) বাইরে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাসকারী অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদেরও শুমারি হবে। শুমারি চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। তবে কাজের ওপর নির্ভর করে সময় আরো বাড়ানো হতে পারে।
ওয়াহিদুর রহমান আরও বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে যারা পালিয়ে এসে সীমান্তবর্তী উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবিরসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে রোহিঙ্গারা। তারা জেলার রামু, চকরিয়া ও কক্সবাজার সদরে আশ্রয় নিয়েছে বলে নানা সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
জেলার অন্য তিন উপজেলায় নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেয়ার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেয়া পাঁচ উপজেলায় শুমারি শুরু হয়েছে। তিনি জানান, শুমারির কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে এরইমধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠিত হয়েছে। জেলা কমিটিতে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা কমিটিতে স্থানীয় ইউএনওদের কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারে শুমারিতে অংশ নেয়া প্রতি দলে দুজন করে ১৭০টি দল কাজ করছে।
তবে মাঠ পর্যায়ে শুমারির কাজ শেষে কখন চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে জানতে চাইলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করছে বলে তিনি জানান।
Comments
comments