অনলাইন ডেস্কঃ দেশের ১৪ উপজেলায় এবং চারটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যাবতীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে নতুন ইসি যাত্রা শুরুর পর একসঙ্গে একাধিক স্থানে নির্বাচন এটাই প্রথম। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আস্থা রাখলেও বিএনপি এখনও সংশয়মুক্ত না হওয়ায় স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনকে নতুন ইসির ‘ইমেজ তৈরির ভোট’ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা
উপজেলা ও পৌরসভার এই নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হচ্ছে বলে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বড় দলগুলোর অংশগ্রহণ থাকছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন ইসি কেমন হবে, তা এই ভোটেই বোঝা যাবে। নিরপেক্ষভাবে শক্ত হাতে এই নির্বাচনটি করতে পারলে তা নতুন ইসিকে নিয়ে সন্দেহ কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
বিষয়টি নিয়ে ইসিও সজাগ। দায়িত্ব নেওয়ার পর গত কয়েকদিনে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনাররা এসব উপজেলা ও পৌরসভা সফর করে এসেছেন।
যেসব উপজেলায় নির্বাচন হবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- জলঢাকা, সুজানগর, ঈশ্বরদী, বড়াইগ্রাম, হোসেনপুর, বানারীপাড়া, গৌরনদী, রাঙ্গাবালী, কলারোয়া, মোড়েলগঞ্জ, ওসমানী নগর, জগন্নাথপুর, গুইমারা ও কুমিল্লার আদর্শ সদর।
যেসব পৌরসভায় বিভিন্ন পদে নির্বাচন হবে সেগুলো হলো- টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ, পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভায় মেয়র পদ, রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভার ১ নম্বর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদ ও বগুড়ার শেরপুর পৌরসভায় ৭ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদ।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, দলীয় এ উপজেলা নির্বাচনে তিনটি পদেই আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা রয়েছেন। স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে তিনটি পদই দলীয় ভিত্তিতে হচ্ছে। এ কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Comments
comments