Download Free BIGtheme.net
Home / অর্থনীতি / ব্যবসায়ীদের ১২০০ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

ব্যবসায়ীদের ১২০০ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক: বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নেওয়া ১২০০ কোটি টাকা ফেরত দিতে আপিল বিভাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

বুধবার শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও খায়রুল আলম চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

এর আগে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া এই ১২শ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে হাইকোর্ট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া এই ১২০০ কোটি টাকা ফেরত দিতে ২০১০ ও ২০১১ সালে পৃথক পৃথক নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব আদেশের বিরুদ্ধে একত্রে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে বৃহস্পতিবারে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৮ সালের নভেম্বরের মধ্যে প্রায় ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১ হাজার ২৩২ কোটি টাকা আদায় করেন। এ টাকা দুই শতাধিক পে-অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের ০৯০০ নম্বর হিসাবে জমা হয়। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় ছাড়াও ‘অজানা’উল্লেখ করেও চার দফায় প্রায় ৪৭ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়। দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠীদের নামও সেই তালিকায় ছিল।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়েছে এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বসুন্ধরা গ্রুপের ২৫৬ কোটি, যমুনা গ্রুপের ৩০ কোটি, এমজিএইচ গ্রুপের ২৪ কোটি, বিএনপির প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের ২০ কোটি, কবির স্টিলের সাত কোটি, ব্যবসায়ী নুর আলীর ৪০ কোটি ৫০ লাখ, আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনের ৩২ কোটি ৫০ লাখ, সাগুফতা হাউজিংয়ের ২ কোটি ৫০ লাখ, হোসাফ গ্রুপের ১৫ কোটি, পারটেক্স গ্রুপের ১৫ কোটি, স্বদেশ প্রোপার্টিজের ৯ কোটি, ইসলাম গ্রুপের ৩৫ কোটি, কনকর্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৮ কোটি, ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের ১৭ কোটি, আবু সুফিয়ানের ১৪ কোটি, শওকত আলী চৌধুরীর ৬ কোটি, আশিয়ান সিটির ১ কোটি, পিংক সিটির ৬ কোটি ৪১ লাখ, বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ১৯ কোটি ৪৫ লাখ, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের ১৫ কোটি, ওয়াকিল আহমেদের ১৬ কোটি, এবি ব্যাংক ফাউন্ডেশনের ৩২ কোটি, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ২০ কোটি ৪১ লাখ, এলিট পেইন্টের ২৫ কোটি ৪৪ লাখ, এবি ব্যাংকের ১৯০ কোটি, কনকর্ড রিয়েল এস্টেটের ৭ কোটি, জনৈক মালিকের ৪ কোটি এবং ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টুর ২ কোটি ২০ লাখ টাকা।

Comments

comments