মোঃ শাহাদাত হোসেন নিশাদ, নোয়াখালী: পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চরক্লাক গ্রামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর গুমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই নিয়ে গৃহবধূর পরিবারে চলছে আতংক। এদিকে ঘটনার ১৩দিন পরেও গৃহবধূ তাহমিনাকে উদ্ধার করা যায় নি। এ বিষয়ে চরজব্বর থানায় গৃহবধূর মামা মো. মামুন বাদী হয়ে একটি জিডি করেছেন।
জানা যায়, সুবর্ণচর উপজেলার হাজী আবদুল হান্নানের ছেলে কামরুল ইমলামের সাথে ২০১৪ সালে গাজীপুর জেলার আবদুল হাইয়ের মেয়ে তাহমিনা আক্তারের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুরি পরিবারের লোকজন গৃহবধূর নিকট ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে চলে গৃহবধূর উপর দফায় দফায় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে ২০১৫ সালে স্বামী বিদেশ চলে যায়। এরপর থেকে শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। এরই জের ধরে গত ১৯ শে এপ্রিল গৃহবধূর উপর চলে অমানসিক নির্যাতন। পরের দিন আর গৃহবধূর খোঁজ পায়নি কেউ। দীর্ঘ ১৩ দিনপরেও গৃহবধূ উদ্বার হয়নি। গৃহবধূর পরিবার অভিযোগ করেন, নির্যাতনের পর তাহমিনাকে হয়তো গুম করে কোথাও আটকে রেখেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান, গৃহবধূকে আমরা উদ্বার করতে চেষ্টা করছি। আশা করি একটা খবর পাব।
Comments
comments