স্বাস্থ্য ডেস্ক: দিব্যি গভীর ঘুমে আপনি মগ্ন। আচমকাই পায়ে উরুতে কিংবা হাঁটুর নিচে মাংসপেশিতে হ্যাঁচকা টান ধরল। সঙ্গে প্রবল ব্যথা। পা ভাঁজ করলে, না কী টানটান করলে এই আকস্মিক ক্র্যাম্পের বেদনা থেকে মুক্তি মিলবে, কিছুই বুঝতে পারছেন না। শুধু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। আস্তে আস্তে কিছু ক্ষণ পরে ব্যথাটা চলে গেল ঠিকই, কিন্তু তার পরও রয়ে গেল হালকা একটা ব্যথা। আর যতক্ষণ টান ধরে ছিল, ততক্ষণ তো কার্যত ডাক ছেড়ে কাঁদার মতো অবস্থা হয়েছিল। পায়ে এমন হ্যাঁচকা টান কমবেশি সকলেরই ঘুমের মধ্যে হয়। কিন্তু জানেন কী, অতি সহজ ঘরোয়া কৌশলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
কৌশলটি সম্পর্কে জানার আগে জানা প্রয়োজন, কী কী কারণে পায়ে এ ভাবে টান ধরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধানত তিনটি কারণে ঘুমের মধ্যে পায়ে ক্র্যাম্পের সমস্যা হয়। প্রথম কারণটি হলো ডিহাইড্রেশন, অর্থাৎ শরীরে জলের অভাব। দ্বিতীয় কারণ, পটাসিয়ামের অভাব। এবং তৃতীয়টি ম্যাগনেসিয়ামের অভাব। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, অতি সহজে ঘরোয়া টোটকায় এই ত্রিবিধ অভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কৌশলগুলি।
১) পানির অভাব থেকে মুক্তির সবচেয়ে কার্যকর এবং সহজ উপায়, বলা বাহুল্য, বেশি করে পানি খাওয়া। তবে সারা দিন ধরে যদি পানি পানের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব না হয়, তা হলে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস হালকা গরম পানি খান। হালকা গরম পানির তাপমাত্রা আমাদের শরীরের রক্তের তাপমাত্রার কাছাকাছি। ফলে গরম পানি অতি দ্রুত মাংসপেশি শোষণ করে নিতে পারে। ডিহাইড্রেশন থেকেও তাই দ্রুত মুক্তি মেলে।
২) পটাসিয়ামের অভাব মেটানোর জন্য পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। পালং শাক, মিষ্টি আলু, নারকোলের দুধ, দই, কলা, মাশরুম প্রভৃতি খাবার বেশি করে খান।
৩) মাছ, ডার্ক চকোলেট, পালং শাক, মুসুর ডাল, কুমড়ো বিচি, বাদাম, ঝোলাগুড় প্রভৃতি খাবারে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। কাজেই নিজের শরীর বুঝে এই সমস্ত খাবার বেশি করে খেলেই ম্যাগনেসিয়ামের অভাব মিটবে। আর এই তিন ধরনের অভাব মিটলেই পায়ে টান ধরার সমস্যা থেকেও নিশ্চিত মু্ক্তি পাবেন আপনি।
Comments
comments