অনলাইন ডেস্কঃ সিলেটের তারাপুর চা-বাগান লিজের ক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির বিষয়ে দায়ের করা মামলায় বিতর্কিত ব্যবসায়ী রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মাহফুজুর রহমান বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় জানিয়ে এপিপি বলেন, মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। একজন সাক্ষী মারা গেছেন। বাকি দুজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি।
এই মামলায় গত ১৭ জানুয়ারি রাগীব আলীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন তাঁরই মালিকানাধীন মালনিছড়া চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহমুদ হোসেন চৌধুরী ও আব্দুল মুনিম।
চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের কথা থাকলেও নথি উচ্চ আদালতে থাকায় হয়নি। গতকাল সকালেই রাগীব আলী ও তাঁর ছেলে আব্দুল হাইকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁদের উপস্থিতিতেই রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শোনেন আদালত। এরপর বিচারক রায়ের দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, তারাপুর চা বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ১৯৯০ সালে দেওয়ান মোস্তাক মজিদকে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে এ বাগান দখল করেন রাগীব আলী। ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি এবং চা বাগানের এক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করেন। জালিয়াতির মামলায় আসামি দুজন। আত্মসাতের মামলায় আসামি ছয়জন। তাঁদের মধ্যে রাগীব আলীর পরিবারের আরো কয়েকজন সদস্য ও মোস্তাক মজিদও রয়েছেন।
Comments
comments