অনলাইন ডেস্কঃ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ভিসি অধ্যাপক মোহা. রফিকুল আলম বেগসহ অন্তত ২৫ শিক্ষক টানা ২৩ ঘণ্টা পর অবরুদ্ধদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
রবিবার একাডেমিক কমিটির জরুরি সভায় আরোপিত ক্রেডিট প্রথা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
পরে এ সিদ্ধান্তের কথা জানালে বেলা দেড়টার দিকে কর্মসূচি তুলে নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেন। এ সময় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
সভা শেষে একাডেমিক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ইকবাল মাতিন গণমাধ্যমকে জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সভায় ৩৩ ক্রেডিট প্রথা বাতিলের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে আন্দোলনরত ১৪ ও ১৫ সিরিজের শিক্ষার্থীদের বন্ধ থাকা ক্লাস-পরীক্ষা যথারীতি চালু করা হবে। ওই দুই সিরিজের শিক্ষার্থীদের হলে থাকা নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়েছে। এর আগে দাবি আদায়ে শনিবার বেলা ২টা থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ কার্যালয়ে ভিসিসহ অন্তত ২৫ শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, একাডেমিক কমিটিতে ক্রেডিট প্রথা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আমরা এখনও আনুষ্ঠানিক নোটিস পাইনি। তবে আমরা আশ্বস্ত হয়ে কর্মসূচি তুলে নিয়েছি।
এ বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক মোহা. রফিকুল আলম বেগ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দাবি মেনে ক্রেডিট প্রথা বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু কিছু শর্ত থাকছে শিক্ষার্থীদের জন্য, সেগুলো তারা মেনে নেবে আশা করি। ‘ তবে কী ধরনের শর্ত সেটা পরিষ্কার করে বলেননি তিনি।
জানা গেছে, ‘ন্যূনতম ৩৩ ক্রেডিট’ প্রথায় রুয়েট শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে বাধ্যতামূলক ৪০ ক্রেডিটের মধ্যে ন্যূনতম ৩৩ ক্রেডিট অর্জন করতে হয়। ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ প্রথা চালু করে রুয়েট প্রশাসন। এর আগে কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য বা অনুপস্থিতির কারণে ন্যূনতম ক্রেডিট অর্জন করতে ব্যর্থ হলেও পরবর্তী বর্ষে ক্লাস-পরীক্ষা দিতে পারত।
Comments
comments