Download Free BIGtheme.net
Home / জাতীয় / ‘ওষুধ রপ্তানিতে আয় ৮৩৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা’

‘ওষুধ রপ্তানিতে আয় ৮৩৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা’

অনলাইন ডেস্ক: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, গত অর্থবছরে বিশ্বের ১২৩টি দেশে ওষুধ রফতানি করে ৮৩৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা আয় হয়েছে। তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, ৫৪টি দেশীয় কোম্পানির ওষুধ রফতানি করে এ আয় হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সরকারের আন্তরিকতা ও উদারনীতির ফলে বাংলাদেশের ওষুধশিল্প অন্যতম শিল্প সেক্টরে পরিণত হয়েছে। দেশীয় চাহিদার শতকরা প্রায় ৯৮ ভাগেরও বেশি ওষুধ বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল বিশ্বের ১২৭টি দেশে রফতানি হচ্ছে। ওষুধ রফতানির পরিমাণ ও দেশের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সরকারি দলের মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সরকার ইতোমধ্যে নিরাপদ, মানসম্মত এবং ‘প্রপার পারফরমেন্স’র মেডিকেল ডিভাইস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি মেডিকেল ডিভাইস গাইডলাইন অনুমোদন করেছে।

তিনি বলেন, হার্টের রিং বা করোনারী স্টেন্ট একটি সংবেদনশীল মেডিকেল ডিভাইস। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদিত মেডিকেল ডিভাইস গাইডলাইন অনুযায়ী ইতোমধ্যে অনেক হার্টের রিং বা করোনারী স্টেন্ট-এর রেজিস্ট্রেশন প্রদান করেছে এবং এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, রেজিস্ট্রেশনকৃত সকল হার্টের রিং বা করোনারী স্টেন্ট-এর মূল্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেয়া হয়। নাসিম বলেন, হার্টের রিং বা করোনারী স্টেন্ট-এর মূল্য পরিস্থিতির ওপর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে।

তিনি বলেন, কোন ব্যবসায়ী বা হাসপাতালের কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে হার্টের রিং বা করোনারী স্টেন্ট বিক্রির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments

comments