অনলাইন ডেস্কঃ স্বচ্ছ ও গ্রহণযেগ্য নির্বাচন করতে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে ৮টি পদ্ধতি তুলে ধরেছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, সংবিধানে প্রধান নির্বাচন কমিশন নিয়োগে আইনের কথা বলা হলেও বাংলাদেশে এ সংক্রান্ত কোনো আইন নেই। এত দিন পর্যন্ত এই আইন প্রণয়ন করা হয়নি। রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। নিয়োগ প্রক্রিয়া কেমন হবে এ বিষয়ে নীতিমালা প্রদানের কোনো বিধান নেই।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েলস কনভেনশান সেন্টারে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রস্তাবনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হুসেইন মোহম্মদে এরশাদ বলেন, দেশের সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন নিয়োগসংক্রান্ত একটি আইনি কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে। সেখানে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাখার বিধান যুক্ত করতে হবে। তাহলে নির্বাচন নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন উঠবে না।
বিশ্বের উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে কমিশন গঠনের পদ্ধতির আলোকে তিনি ৮টি পদ্ধতির কথা তুলে ধরেন।
পদ্ধতিগুলো হলো-উন্মুক্ত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিয়োগ,অনুসন্ধান
কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ,সংসদ বা আইন সভার মাধ্যমে নিয়োগ, নির্বাহী প্রধানের মাধ্যমে নিয়োগ (যেমন: প্রধানমন্ত্রী/রাষ্ট্রপ্রধানের মাধ্যমে), বিচার বিভাগের মাধ্যমে নিয়োগ, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ, রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে নিয়োগ ও একাধিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োগ।
সংবাদ সম্মেলনে যোগ্যতা সম্পন্ন, বিশ্বাসযোগ্য ও সর্বজন গৃহীত ব্যক্তিকে নিয়োগদানের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানান জাতীয় পার্টির এই চেয়ারম্যান।
Comments
comments