আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হ্যাকিংয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সাহায্যকারী সন্দেহভাজন হ্যাকারের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। তার নাম আলিসা শেভচেঙ্কো।
রাশিয়ার ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে শেভচেঙ্কোর নাম। তিনি একজন দক্ষ হ্যাকার। বড় বড় কোম্পানি তাদের অনলাইন নিরাপত্তার দুর্বলতা খুঁজে বের করতে তাকে নিয়োগ দেন।
জোর নামে একটি কোম্পানির হয়ে কাজ করতেন শেভচেঙ্কো। রুশ ফেডারেশনের গোয়েন্দা সংস্থার জন্য ‘টেকনিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে জোর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জয়ী করতে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তারে শেভচেঙ্কো পুতিনের নির্দেশ পেয়ে কাজ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আসার পর আলিসা শেভচেঙ্কো দাবি করেছেন, রাশিয়া সরকারের হয়ে কাজ করার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। হোয়াইট হাউস ইচ্ছাকৃতভাবে তার কোম্পানির নাম তালিকাভুক্ত করে তাদের পেছনে লেগেছে অথবা ঘটনার ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
শেভচেঙ্কোর দাবি, তাকে ও তার অসহায় কোম্পানিকে টার্গেট বানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু কিছুই তিনি আড়াল করেন না এবং ভালো যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। দোষ দেওয়ার মতো কোনো কারণও নেই। বড় অঙ্কের অর্থ, কোনো ধরনের ক্ষমতা বা এমন কোনো যোগসূত্র নেই, যে কারণে তাকে দোষ দেওয়া হবে। তার দাবি, এ ব্যক্তি তিনি নন, অন্য কেউ।
এদিকে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলে আসছেন, নির্বাচনে রাশিয়া হ্যাকিং করেনি। তবে শুক্রবার গোয়েন্দাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে শোনার পর তিনি বলেছেন, বিদেশি হ্যাকিংয়ে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়েনি।
হ্যাকিংয়ে নির্বাচনে প্রভাব পড়েনি- এমন দাবি করলেও রাশিয়া যে হ্যাকিং চালিয়েছে, সে বিষয়ে তিনি এখনো স্থির নন এবং এজন্য রাশিয়াকে কোনো দোষারোপও করেননি ট্রাম্প। উল্টো তিনি বলেছেন, ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি হ্যাকিংয়ের সুযোগ দিয়েছে। তারা যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা খুবই কঠোর হওয়ায় হ্যাক হয়নি।
নবনির্বাচিত ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, জাতীয় প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অনলাইন হ্যাকিং রোধে কড়া পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
Comments
comments