Download Free BIGtheme.net
Home / জাতীয় / ইসি গঠনে গণফোরামের ৯ দফা প্রস্তাবনা

ইসি গঠনে গণফোরামের ৯ দফা প্রস্তাবনা

অনলাইন ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে গণফোরামের পক্ষ থেকে ৯ দফা প্রস্তাব দিলেন দলটির সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন। আজ রোববার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে গণফোরামের ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠক করেন। বৈঠকে গণফোরামের পক্ষ থেকে ৯ দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

সংলাপে গণফোরাম প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সভাপতি ড. কামাল হোসেন।  বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ও প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকতে হবে। ২০০৮ সালের মতো জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা যেন জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আইনে কি কি বিধান করা প্রয়োজন সে বিষয়ে আমরা বলেছি। সার্চ কমিটি গঠনে আমরা কোন নাম প্রস্তাব করিনি। তবে ক্যাটাগরী বলেছি। বিকাল পৌনে চারটার দিকে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে বঙ্গভবনে যান ড. কামাল হোসেন। বৈঠক চলে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা। বৈঠকে গণফোরামের পক্ষ থেকে ৯ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, নির্বাহী বিভাগের প্রভাব ও হস্তক্ষেপমুক্ত স্বাধীন, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনকল্পে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ প্রক্রিয়া, নির্বাচন কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতাসহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কার্যকর ক্ষমতা সম্বলিত একটি নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করা।

সততা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও আইনী জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্য হতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারগণকে নিয়োগ করা।  প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতার অগ্রাধিকার যাচাই বাছাইয়ের জন্য ৫ সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করার কথাও বলা হয়েছে প্রস্তাবে। নির্বাচন কমিশন আর্থিকভাবে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণমুক্ত থাকবে।

জাতীয় বাজেটে নির্বাচন কমিশনের জন্য পৃথক বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন থাকবে।

নির্বাচন কমিশন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করবেন এবং তাদের দ্বারাই নির্বাচন কমিশন সচিবালয় পরিচালনা করবে। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা যাচাই-বাছাই করে রির্টানিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ করবেন। এ সব নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনী বিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত থাকবে।

মনোনয়ন পত্রের সাথে হলফনামা  সহকারে প্রার্থীর দাখিলকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতা, সম্পদের বিবরণী, ফৌজদারী রেকর্ড ইত্যাদি তথ্যসমূহ নির্বাচন কমিশন ওয়েব সাইটে প্রকাশ ও সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে টাঙ্গিয়ে প্রচার করা। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রার্থীগণ নির্বাচনী ব্যয়ের বিবরণ দাখিল না করলে এবং আইনে নির্ধারিত ব্যয় সীমা অতিক্রম করেছেন প্রমাণীত হলে শাস্তির বিধানসহ সংসদ সদস্য পদ বাতিল হবে।

Comments

comments