অনলাইন ডেস্ক : ‘নিম’ নামটা শুনলে তেতো স্বাদের কোন কিছুর ছবি ভেসে উঠে চোখের সামনে। এই তেতো স্বাদের পাতাটির রয়েছে নানা ওষধি এবং ভেষজ গুণাবলি। নিম গাছের প্রতিটা অংশ- শিকড়, বাকল, আঠা, পাতা, ফল, ডাল, বীজ এবং বীজের তেল ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়।
নিমে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক, জ্বর ও বেদনানাশক এবং অ্যান্টি ডায়াবেটিক, রক্ত পরিষ্কারক ও স্পারমিসাইডাল উপাদান আছে। এসব ছাড়াও নিমের পাতায় লুকিয়ে আছে আরো কিছু ওষুধিগুন। যা রুপচর্চায় এবং স্বাস্থ্যর জন্য খুব উপকারী। চলুন জেনে নেয়া যাক নিমপাতার অজানা কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা।
ওজন হ্রাস :
পেটের মেদ কমাতে নিমের ফুল সাহায্য করে। কিছু পরিমাণ নিমের ফুল গুঁড়ো করে নিন। এর সাথে মধু, লেবুর রস এবং পানি মিশিয়ে নিন। এটি সকালে খালি পেটে পান করুন। নিমের ফুল মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে :
নিমের উপাদান প্রাকৃতিক ভাবে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে থাকে। নিম রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইনসুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ভাল ফল পেতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস নিমের জুস পান করুন।
ক্যান্সার চিকিৎসায় :
নিমের এনআইজিপি উপাদান কোষে টিউমারের জীবাণু জন্মাতে বাঁধা দিয়ে থাকে। সকালে খালি পেটে নিমের রস পান করুন। এর ওষধি উপাদান শরীরের টক্সিন দূর করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
অ্যাজমা প্রতিরোধে :
কয়েক ফোঁটা নিমের তেল জিহবার মাঝে দিয়ে দিন এবং তা আস্তে আস্তে খান। এর ডোজ অল্প অল্প করে বৃদ্ধি করুন। এটি অ্যাজমা রোধ করবে।
দাঁতের যত্নে :
নিম দাঁত এবং দাঁতের মাড়ি উভয়ের যত্ন নিয়ে থাকে। মাড়ি থেকে রক্তপাত এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে বেশ কার্যকরী। নিম পাতার পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজুন। এটি দাঁতের ব্যথাও দূর করে দেবে।
রক্ত পরিষ্কার করে :
নিমপাতার রস রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়। এছাড়াও রক্তচলাচল বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডের গতি স্বাভাবিক রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও নিমের জুড়ি নেই।
ফাঙ্গাল ইনফেকশন :
পায়ে অথবা আঙ্গুলে যেকোন ইনফেকশন দূর করতে নিমের তেল ব্যবহার করুন। নিমবিডোল এবং জিডোনিন নামক ওষধি উপাদান ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করে দেয়।
খুশকির চিকিৎসায়: নিমের ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক নাশক উপাদানের জন্য খুশকির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম মাথার তালুর শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে।
উকুনের চিকিৎসায়: নিমের ব্যবহারে উকুনের সমস্যা দূর হয়। নিমের পেস্ট তৈরি করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন, তারপর মাথা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এবং উকুনের চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ান। সপ্তাহে ২-৩ বার এটা করুন। ২ মাস এভাবে করুন। উকুন দূর হবে।
Comments
comments