অনলাইন ডেস্ক: সিলেটের বহুল আলোচিত শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় প্রধান আসামি কামরুলসহ ৪ জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বাকি ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজনের পরিবার। তবে, রায়ে কোনো মন্তব্য করেনি আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
সিলেটের শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার দৃশ্য প্রকাশিত হলে সমালোচনা ঝড় উঠে দেশব্যাপী। এ ঘটনায় বাবার দায়ের করা এক মামলায় গত বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। বাকি ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। মঙ্গলবার বিচারিক আদালতের ঐ রায়ই বহাল রাখলো উচ্চ আদালত। আদালত রায়ে বলেন খুনির মানুষ রুপী পশু।
সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম বলেন, ‘কামরুল ইসলাম ওরফে কামরুল, সাদিক আহমেদ ওরফে বড় ময়না, তাজউদ্দিন ও জাকির হোসেনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।’
তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া নুরু মিয়ার সাজা কমিয়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যিনি রাজনকে পিটিয়ে মারার ভিডিও ধারণ করেন। এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজনের বাবা।
রাজনের বাবা আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমি রায়ে খুশি। আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার পাওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ জানাই।’
তবে উচ্চ আদালতের রায়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। ২০১৫ সালের ৮ই জুলাই সিলেটের কুমারগাওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে শিশু রাজনকে হত্যা করে আসামিরা।
Comments
comments