অনলাইন ডেস্ক: জঙ্গিনেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের সহযোগী দেলোয়ার হোসেন রিপনেরও ফাঁসির চিঠি কারাগারে পৌঁছেছে। তার প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচ করার পর চিঠি কারাগারে পৌঁছায়।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠি হাতে পান। তারপর ওই চিঠি সিলেট কারাগারে পৌঁছায়।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ছগির মিয়া জানান, চিঠি পাওয়ার পর আমরা আসামিকে প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার খবর জানিয়েছি। দণ্ড কার্যকরে আমরা প্রস্তুত আছি। উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ও সব প্রক্রিয়া শেষ হলেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নান, তার সহযোগী রিপন ও শরীফ শাহেদুল বিপুলের মৃত্যুদণ্ডের রায় হলে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। সেই আবেদন নাকচ হয়েছে বলে রোববার সাংবাদিকদের জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
উল্লেখ্য, এ মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত অপর দুই আসামি হলেন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) সদস্য শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল এবং মুফতি হান্নান। বাকি দুই আসামি মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। আপিল না করায় তাঁদের ওই সাজাই বহাল রয়েছে। দণ্ডিত পাঁচ আসামির সবাই কারাগারে আছেন।
গত ১৭ জানুয়ারি আপিল বিভাগের ৬৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করা হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর দণ্ডাদেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন ও সর্বশেষ দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চায় আসামিরা। তবে রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেন।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। এতে আনোয়ার চৌধুরী আহত হন। পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ নিহত হন তিনজন।
ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে ফাঁসির দণ্ড দেন। এ ছাড়া মহিবুল্লাহ মফিজ ও মুফতি মঈন উদ্দিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ আসামিদের আপিল খারিজ করে গ্রেনেড হামলা ও তিনজনকে হত্যার দায়ে মুফতি আবদুল হান্নানসহ তিন জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন।
Comments
comments