পারভেজ সুমন, রাঙামাটি: মোবাইল ফোন সন্ত্রাসীদের হত্যার হুমকিতে থাকা রাঙামাটির একটি পরিবার নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রাঙামাটি শহরের কাঠালতলির বাসিন্দা এক সময়ের দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বশির আহমদ অভিযোগ করেন তার সম্পত্তি দখলের জন্য তার বড় ভাই জাকির হোসেন সওদাগর সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে তার পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছেন। সোমবার রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়নে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বশির আহমদ এ অভিযোগ করেন। এ সময় তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন সহ তার এক মেয়ে ও দুই ছেলে সন্তান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বশির আহমদ অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী পারুল মেবাইলে কল দিয়ে তাদেরকে রাঙামাটি ছেড়ে চলে যেতে বলে। অন্যথায় বোমা মেরে বিল্ডিং উড়িয়ে দিবে এবং স্বপরিবারে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনার পর তিনি রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় জিডি করেন। হুমকির কারণে বর্তমানে বশির আহমদের সন্তানের স্কুলে যাওয়া বন্ধ রয়েছে বলে জানান বশির।
বশির আরো অভিযোগ করেন তিনি দক্ষিন কোরিয়ায় প্রায় ১২ বছর প্রবাস জীবনে চাকুরী করে তার দুই বড় ভাই জাকির সওদাগর ও জহির আহমদ সওদাগরের কাছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা পাঠান। কিন্তু এসব টাকার কোন কাগজপত্র না থাকায় তিনি এ অদ্যাবদি টাকার কোন হিসেব পাননি। তিনি নিজের টাকায় চট্টগ্রাম শপিং কমপ্লেক্সে দুটি দোকান, চট্টগ্রাম শহরে ৮ শতক জায়গা, ও রাঙামাটি শহরে কাঠালতলীতে একটি চারতলা ভবন এবং তবলছড়ি বাজারে দুটি দোকানের মালিক হয়েছেন। এসব সম্পত্তির লোভে তার ভাই জাকির হোসেন সওদাগর বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। ভাইয়ের ষড়যন্ত্র ও হুমকির মুখে বশির স্বপরিবারে চট্টগ্রাম শহরে চলে যান। সেখানেও তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে জান মালের ক্ষতি করার অপচেষ্টা চালালে বশির সম্প্রতি আবারো রাঙামাটি শহরের কাঠালতলীস্থ নিজ বিল্ডিং এ বসবাস শুরু করেন। কিন্তু রাঙামাটি শহরে আসার পর তার ভাই আবারো তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও হুমকি অব্যাহত রেখেছে বলে বশির অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ জানান, এরকম একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগটি পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে হওয়ায় আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করার চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রাঙামাটি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দিন বলেন, বশির আহমদের পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকির বিষয়টি আমি শুনেছি। তিনি বলেন তিনটি মোবাইল ফোন থেকে হুমকি দেয়া হয়। মোবাইল রেকর্ডিং আমি নিজে শুনে হুমকি দাতার মোবাইলে ফোন দিয়ে জানতে পারি একটি ফোন এসেছে জাকির সওদাগরের স্ত্রীর কাছ থেকে ও অপর মোবাইলে ফোন দিলে সে পরিচয় দেয়নি।
Comments
comments