অনলাইন ডেস্ক : দশম জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন আগামী রোববার বিকাল ৫টায় শুরু হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গত ৫ সেপ্টেম্বর সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন। এটি হচ্ছে সংসদের শরৎকালীন অধিবেশন। খবর বাসসের
সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য এ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী এক অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে সংসদের পরবর্তী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সে হিসাবে ৬০ দিনের বাধ্যবাধ্যকতা পূরণের জন্য এ অধিবেশন ডাকায় এর মেয়াদকাল সংক্ষিপ্ত হতে পারে। তবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় সংসদ কার্য-উপদেষ্টা কমিটির সভায় দ্বাদশ অধিবেশনের মেয়াদ ও কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হবে।
এদিকে দশম জাতীয় সংসদের ১১তম (বাজেট) অধিবেশন গত ২৭ জুলাই শেষ হয়। গত ১ জুন ওই অধিবেশন শুরু হয়। একাদশ অধিবেশনে গত ২ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। গত ৩০ জুন এ বাজেট পাস করা হয়। বাজেটের ওপর মোট ৬০ ঘণ্টা ৫০ মিনিট আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে মূল বাজেটের ৫৯ ঘণ্টা ১৪ মিনিট এবং সম্পূরক বাজেটের ১ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট আলোচনা হয়। বাজেট আলোচনায় সরকারি ও বিরোধী দলের মোট ২৪৬ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
মোট ৩২টি কার্যদিবসের ওই অধিবেশনে ১৬টি সরকারি বিল পাস হয়। আইন প্রণয়ন সম্পর্কিত কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে ১৯৩টি নোটিশ পাওয়া যায়। নোটিশগুলো থেকে ১২টি গৃহীত নোটিশের মধ্যে ২টি আলোচিত হয়। এছাড়া ৭১(ক) বিধিতে দুই মিনিটের আলোচিত নোটিশের সংখ্যা ছিল ৫৬টি।
এছাড়া একাদশ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দানের জন্য সর্বমোট ২৩১টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। তার মধ্যে তিনি ৯১টি প্রশ্নের উত্তর দেন। মন্ত্রীদের জন্য আনা ৪ হাজার ১৮৪টি প্রশ্নের মধ্যে ৩ হাজার ৪৭১টি প্রশ্নের জবাব দেন।
ওই অধিবেশনে গুলশান, শোলাকিয়া, পবিত্র মদিনা ও ফ্রান্সসহ বিশ্বব্যাপী নিরীহ মানুষের ওপর কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলায় ১৪৭ বিধিতে সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। একাদশ অধিবেশনে এসব ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও সমসাময়িক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপরও অধিবেশনে আলোচনা হয়।
Comments
comments